ওয়াশিংটননিউজ ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক, রবিবার,০৬ আগষ্ট ২০২৩:পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতার পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা, এই ঘটনা দক্ষিণ এশীয় দেশটির রাজনৈতিক সংকট আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনকে বলেছেন, ইমরান খান এবং অন্যান্য রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা সারা বিশ্বের মতো পাকিস্তানেও গণতান্ত্রিক নীতি ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানাই।
যুক্তরাষ্ট্রের যেসব আইনপ্রণেতা এর আগে ইমরান খানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন, তারা এখন পর্যন্ত নীরব রয়েছেন। তবে মুখ খুলেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক স্কলার মাইকেল কুগেলম্যান টুইট করেছেন, কিছুদিন আগে পাকিস্তান সরকার পদত্যাগ করার এবং নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে দেশটির রাজনৈতিক সংকট কিছুটা কমেছে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু এখন, ইমরান খানকে আবার গ্রেফতার করায় এবং নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে সব বাজি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হলো।
এর আগে, আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরপরই শনিবার (৫ আগস্ট) লাহোরের জামান পার্কের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক মামলা চলছে। তবে এদিন তোশাখানা মামলায় অপরাধী প্রমাণিত হওয়ায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৭০ বছর বয়সী নেতা।
এদিন শুনানির শুরুতেই ইমরান খানের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। সেই সঙ্গে তোশাখানা মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করে তিন বছরের কারদণ্ড দেন অতিরিক্ত ও দায়রা জজ বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে একই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেছিল দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।