বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন

চ্যাটজিপিটি একটি প্রোগ্রাম, এটি কোনো প্রাণী নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩

ওয়াশিংটননিউজ,  আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩ : বর্তমান সময়ের আলোচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত প্রোগ্রাম বা টুল চ্যাটজিপিটি নির্মাতা মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান মার্কিন সিনেটে হাজির হয়েছেন। মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কী ধরনের আইন প্রয়োজন, সে সম্পর্কে সিনেটের প্রাইভেসি, প্রযুক্তি ও আইনসংশ্লিষ্ট উপকমিটির সামনে সাক্ষ্য দিচ্ছেন স্যাম অল্টম্যান। সিনেট প্যানেলের সামনে হাজির হয়ে অল্টম্যান বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নানা দিক নিয়ে।

বিবিসি জানিয়েছে, ওপেন এআই চ্যাটজিপিটি নামের যে অ্যাপ তৈরি করেছে তা প্রবন্ধ, স্ক্রিপ্ট, কবিতা লিখতে পারে এবং কম্পিউটার কোডিংকে মানুষের মতো করে সমাধান করতে পারে। গত বছরের নভেম্বরে এ অ্যাপটি উন্মুক্ত করার পর থেকে লাখো মানুষ এটি ব্যবহার করেছেন। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত উন্নয়ন নিয়ে আশঙ্কাও ছড়িয়েছে।

সিনেটকে অল্টম্যান বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। তাই এ খাতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে।
মার্কিন রাজনীতিবিদেরা এআইয়ের সম্ভাব্য হুমকির উত্তর খুঁজছেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে এআই নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন তাঁরা।

এআই খাতের ‘গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত জিওফ্রে হিন্টনসহ বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি দ্রুত বিকাশমান এআই প্রযুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে শুনানিতে এআই নিয়ে হুমকির  পাশাপাশি এ খাতের অগ্রগতির ফলে সমাজের জন্য যে ভালো কাজ করা যেতে পারে, সে বিষয়টিও উঠে এসেছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নের ফলে সবচেয়ে বাজে প্রভাব সম্পর্কে অল্টম্যান বলেন, তাঁর ধারণা, এআই উন্নয়নের ফলে চাকরিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে। তবে সেই প্রভাবটি ঠিক কী হবে, তা ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। তিনি আরও বলেন, চ্যাটজিপিটিকে একটি টুল বা প্রোগ্রাম হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। একে কোনো প্রাণী ভাবা ঠিক নয়। অল্টম্যান বলেন, এটা এমন একটি টুল যাতে মানুষের অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ আছে। তিনি আরও বলেন, এটি কাজের একটি হাতিয়ার।

ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, প্রযুক্তির ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে আমাদের জীবনযাত্রার মানও বৃদ্ধি পায়। ভবিষ্যতের চাকরি আরও দুর্দান্ত হবে বলে তিনি আশাবাদী।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ