মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম

বুয়েটছাত্র ফারদিন হত্যা মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর হত্যা মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক আজ রোববার এ আদেশ দেন। সিআইডিকে আগামী ২৪ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফারদিনের বাবার আইনজীবী প্রকাশ বিশ্বাস।

ফারদিন হত্যা মামলায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ফারদিনের বন্ধু আয়াতুল্লাহ বুশরাকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

ডিবির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দেন ফারদিনের বাবা। তাঁর আইনজীবী প্রকাশ বিশ্বাস  বলেন, ফারদিনের বাবার নারাজি আবেদনটি আদালত গ্রহণ করেছেন। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত বছরের ৪ নভেম্বর রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। পরদিন সকালে তাঁর পরীক্ষা ছিল। তবে তিনি পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ফারদিনের বাবা হত্যা মামলা করেন। মামলায় ছেলের বন্ধু বুশরাকে আসামি করেন তিনি। এ মামলায় বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রায় তিন মাস পর গত ৮ জানুয়ারি বুশরা জামিনে মুক্তি পান।

ফারদিনের লাশ উদ্ধারের পর ঘটনার ছায়া তদন্ত করা র‍্যাবের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়েছিল, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চনপাড়ার অপরাধী চক্র এই হত্যার সঙ্গে জড়িত।

তবে গত ১৪ ডিসেম্বর তদন্তকারী সংস্থা ডিবি জানায়, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব জানায়, ফারদিন ‘স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ’ করেছেন। তবে ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিনের বিশ্বাস, তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।

কাজী নূর উদ্দিন বিজনেস পত্রিকা ‘দ্য রিভারাইন’-এর সম্পাদক ও প্রকাশক। ফারদিনের মা ফারহানা ইয়াসমিন গৃহিণী। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন ফারদিন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ