ওয়াশিংটননিউজ , ঢাকা,২৮ মে, রবিবার,২০২৩: বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক হচ্ছে বহুমুখী এবং সেটা যৌথ প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষাসহ সুবিস্তৃত নানা ক্ষেত্রে সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
রোববার (২৮ মে) সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশন স্থানীয় সংস্থাসমূহকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ‘জি২০ মেগা বিচ ক্লিন আপ’ শীর্ষক একটি সমুদ্রসৈকত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করে। ২০২৩ সালে ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সির আচরণবিধির অধীনে আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী কার্যক্রমটিতে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, সুশীল সমাজ ও মিডিয়ার বিশিষ্ট সদস্যদের পাশাপাশি শিক্ষার্থী এবং তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা অংশগ্রহণ নেন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সি চলাকালে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের আমন্ত্রণ বাংলাদেশের গ্রহণ করা উভয় দেশের বিস্তৃত ও সুগভীর অংশীদারত্বের প্রতিফলন। তিনি যোগ করেন যে, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক হচ্ছে বহুমুখী এবং সেটা যৌথ প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষাসহ সুবিস্তৃত নানা ক্ষেত্রে সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তিনি গুরুত্ব সহকারে বলেন, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক আবাসস্থলের সংরক্ষণ ও সুরক্ষার এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাদের দুই দেশের যৌথ মূল্যবোধ ও অগ্রাধিকারসমূহের একটি স্বতঃস্ফূর্ত সম্প্রসারণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবসময় জলবায়ু ইস্যুতে সম্মুখসারিতে রয়েছে। তিনি উপকূলীয় ও সামুদ্রিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণের সহায়ক হিসেবে ভারত সরকারের এই উদ্যোগ এবং নাগরিক-কেন্দ্রিক অংশগ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন।
জি২০ মেগা বিচ ক্লিন আপ ইভেন্টেটির উদ্দেশ হলো পরিবেশের ওপর সামুদ্রিক বর্জ্যের প্রভাব সম্পর্কে সংবেদনশীল করা এবং সচেতনতা বাড়ানো। পরিবেশগত সংকট প্রশমনে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা ও জনসমাজের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।