ওয়াশিংটননিউজ , ঢাকা,০৬ জুন, মঙ্গলবার,২০২৩: বিদেশি রাষ্ট্রদূতেরা তাদের কাজের সীমারেখা অতিক্রম করলে সরকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
গতকাল সোমবার (৫ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির বিএনপির নেতাদের সঙ্গে ও সিইসির সঙ্গে বৈঠক বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমার বিস্তারিত জানা নেই। ছয় মাস আগে অবশ্যই একটা পর্ব গেছে। যদি কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত আবারও সে ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হন, যেটা আমরা মনে করবো যে তাদের কাজের সীমারেখা অতিক্রম করছে, তাহলে আমরা অবশ্যই তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। তবে এখন পর্যন্ত এ রকম কিছু আমাদের চোখে পড়েনি।
নির্বাচন যতো ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশের বিষয়ে লবিস্টদের কার্যক্রম বেড়েছে, এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা তাদের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রী সবসময় যেটি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আমাদের শক্তি। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি, মানুষই বিবেচনা করবে আমরা ঠিক করেছি নাকি ভুল করেছি। বিদেশি কারও কাছে ধরনা দিয়ে, কারও চাপে পড়ে অথবা তার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতেই হবে- এ ধরনের কোনো নীতিতে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পেছনে ফেলে দেওয়ার নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি কানাডাসহ অনেক দেশ অঘোষিতভাবে অনুসরণ করবে- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, অঘোষিতভাবে বললে আমার উত্তর হবে যথেষ্ট নয়। কারণ ওরা তো বলেনি আসলে দেবে। তো আমরা দেখি, আপনারা আমরা সবাই অ্যাপ্লাই করে দেখি, যদি সেসব দেশে যাওয়ার সময় থাকে, ভিসা দিচ্ছে কী দিচ্ছে না। তবে সিরিয়াস নোট হলো ‘অল আর প্রোপাগান্ডা’। বর্তমান সরকারবিরোধী যে শক্তিগুলো কাজ করে, শুধু এ বিষয়টি নয়, বেশকিছু হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ, ছবি বা গ্রাফিক্স দেখবেন। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে এ ধরনের তথ্য আরও বেশি পাবেন। তবে সবকিছু যাচাই করে নেওয়াটা জরুরি। তবে এটি প্রোপাগান্ডার অংশ, এর কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ যারা বিশ্বরাজনীতি এবং পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন তারা জানবেন যে ভিসা প্রক্রিয়ার যে ফরেন পলিসি টুল, সেটি সব দেশের এক নয়।
ভারতের নবনির্মিত পার্লামেন্ট ভবনে ‘অখণ্ড ভারত’ মানচিত্রে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশকে ভারতের মানচিত্রের অংশ হিসেবে দেখানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি মিডিয়ার কিছু জায়গায়, বিশেষ করে স্যোসাল মিডিয়ায়, ফলে আসল ঘটনা কী সেটি জানা দুরূহ হয়ে পড়ে। সেজন্য মূলধারার গণমাধ্যমের দায়িত্ব অনেক বেশি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন এটি অশোকান এম্পায়ার। যেটি হলো যিশু খ্রিস্টের জন্মের ৩০০ বছর আগের। সেসময়ে এ অঞ্চলটি ছিল তার একটি ম্যাপ। এটি একটি ম্যুরাল, সেখানে কালচারাল সিমিলারিটি থাকতে পারে বা অন্যকিছু থাকতে পারে। কিন্তু এটি রাজনৈতিক বিষয় নয়। যিশু খ্রিস্টের জন্মের ২ হাজার ২৩ বছর পরের ম্যাপ এটি নয়। এটি নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। তবে সেটি পরিষ্কার হওয়ার জন্য আমাদের দিল্লি মিশনকে বলেছি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের অফিসিয়াল ব্যাখ্যা জানতে।