ওয়াশিংটননিউজ ,ঢাকা, বুধবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৪: শপথ নিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এমপিরা। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শপথের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। অন্যান্য কার্যক্রম শেষে শপথ পাঠ করেন সদস্যরা।
পরে তাদের শপথের কাগজে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে সংসদের রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। শপথের পর নবাগত এমপিরা স্পিকারের সামনে শপথ ফরমে স্বাক্ষর করেন।
শপথ নিলেন নবনির্বাচিত এমপিরা, দ্বাদশ সংসদের যাত্রা শুরু
সংবিধান অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াতে হয়। সে অনুযায়ী নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পড়ান একাদশ সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এমপিদের শপথের আগে প্রথম দফায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী এমপি হিসেবে নিজে শপথগ্রহণ করেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
শপথ নিলেন দ্বাদশ সংসদের এমপিরা
দুপুর ১২টার দিকে নেবেন জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা।
এর আগে সংসদ ভবনে হাজির হয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, স্মার্ট, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াই আমাদের লক্ষ্য।
নীলফামারী-২ (সদর) আসনের এমপি আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে ইশতেহার ঘোষণা করেছে, তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো, এটাই আমাদের লক্ষ্য।
এদিকে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিতরা। জাতীয় সংসদ ভবনে বুধবার সকালে প্রথমে সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন নিজে শপথ বাক্য পাঠ করেন এবং স্বাক্ষর করেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে নবনির্বাচিতদের শপথ বাক্য পাঠ করান। এরপর স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত ৬২ জন সংসদ সদস্য শপথ গ্রহণ করেন এবং স্বাক্ষর করেন।
এর আগে গতকাল নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে হবে। শপথ গ্রহণের পরই তিনি কার্যভার গ্রহণ করেছেন বলে গণ্য হবেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি রবিবার সারা দেশে একযোগে ২৯৯ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৮ আসনের ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠা লাভ করেছে। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১১ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেছেন।