ওয়াশিংটননিউজ ,ঢাকা, শনিবার,৩০ ডিসেম্বর ২০২৩:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের বিভিন্নস্থানে এক শটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। সেখানে দেশি-বিদেশি সেখানে বিনিয়োগ হবে। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বাস করে তারুণ্যের শক্তিই বাংলাদেশের অগ্রগতি। এই তারুণ্যেই আমরা উপযুক্তভাবে তৈরি করতে চাই স্মার্ট তরুণ সমাজ হিসেবে।
দক্ষ জনশক্তি হিসেব গড়তে চাই।
আজ শনিবার বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা এ কথা বলেন।
সরকার প্রধান বলেন, যুব সমাজের জন্য কাজের ব্যবস্থা করেছি। কম্পিউটার ও ডিজিটাল ডিভাইস এগুলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
আমরা বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলদেশ গড়ব, দিন বদলের সনদ দিয়েছিলাম। বাংলাদেশ ১৫ বছরে বদলে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে অবকাঠামো উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সবদিকেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়ন করেছে। এই হলো বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৪১ সাল। এই ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলব।
পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আবুল হোসেন যখন যোগাযোগমন্ত্রী। তখন হঠাৎ বিশ্বব্যাংক একটা অভিযোগ নিয়ে আসল, পদ্মা সেতুর টাকায় দুর্নীতি হয়েছে। তখন পদ্মা সেতু নির্মাণ এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি।
এখানে কেউ দুর্নীতি করবে এটা কখনই বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছিল। আমাদের একটি ব্যাংকের এমডি, সে পদ হারাতে চাচ্ছিল না। বয়স হয়েছে, তারপরও পদ হারাতে চাচ্ছিল না। বসে বসে সেই ব্যক্তিই এই ষড়যন্ত্র করেছিল। তখন বিশ্বব্যাংক বলল দুর্নীতি হয়েছে। ঠিক তখনই আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম, এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি, তোমরা প্রমাণ কর। বিশ্বব্যাংক পরে কিন্তু প্রমাণ করতে পারে নাই।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, টানা ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশে ধারাবাহিক একটা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কায় আছে বলেই এই উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে ও জেলা পর্যায়ে এমনকি তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের যা যা প্রয়োজন। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চান শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপসহ অনেকে।